ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষতার সাথে মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকেই ই-মার্কেটিং বলে । মার্কেটিং হলো গ্রাহকদের চাহিদা যথাযথভাবে চিহ্নিত্বপূর্বক পণ্য ও সেবাসামগ্রী তাদের নিকট পৌছানোর সর্ববিধ কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন সম্ভব হয় । ওয়েব, ই- মেইল, ডাটাবেজ, ডিজিটাল টেলিফোন, টেলিভিশন ইত্যাদি ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে মার্কেটিং কার্য সম্পাদন ও সেবা প্রদান এর লক্ষ্য ।
ই-মার্কেটিং ই-বিজিনেস এর একটা উপশাখা (Subset)। ব্যবসায়ের উৎপাদন, বন্টন, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিভিন্ন পক্ষের সাথে যোগাযোগ, ব্যবসায়িক তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিতরণ সকল ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ই-বিজনেস হিসেবে গণ্য। অন্যদিকে গ্রাহকদের চাহিদা শনাক্তকরণ, এজন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ, গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ, মার্কেট Place শনাক্ত করে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন ধরনের বিপণন প্রসার কার্যক্রম গ্রহণ, এজন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কৌশল নির্ধারণ, বিভিন্ন ধরনের বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ই-মার্কেটিং কাজ করে । ই মার্কেটিং বিশেষভাবে গ্রাহক সম্পর্কিত । পণ্য কিভাবে আসবে বা সরবরাহ Chain কী হবে এ বিষয়ে ই-মার্কেটিং ততটা সম্পৃক্ত নয় ।
ব্যবসায়ের বিজনেস স্ট্রাটিজির সাথে ই-মার্কেটিং পরিকল্পনার সম্পর্ক নিম্নে রেখাচিত্রের সাহায্যে দেখানো হলো